লাইফস্টাইল ডেস্ক: আজ ৮ মার্চ। দিনটি নারীর জন্য উদযাপন করা হয়, নারী দিবস। প্রতি বছর এই দিনে নারী দিবস পালন করা হয়। কেন এই তারিখই বেছে নেওয়া হলো? নারী দিবসই বা কেন পালন করা হয়? এই দিবসের প্রতীক হিসেবে কেন বেগুনি রং বেছে নেওয়া হলো? নিশ্চয়ই এমন সব প্রশ্ন ভিড় করছে আপনার মনেও।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সংক্ষেপে বলা হয় আইডব্লিউডি। নারী দিবস আপনাকে উদযাপন করতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে নারীর প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি দিন তার জন্য বিশেষ কোনো আয়োজন তো আপনি করতেই পারেন।
১৯৭৫ সালে নারী দিবস উদযাপন শুরু করে জাতিসংঘ। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই তখন থেকে দিনটি বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয়ে আসছে। বছরের এই দিন পালন করা হয় গুরুত্বের সঙ্গে। মূলত লিঙ্গবৈষম্য দূর করার উদ্দ্যেশেই দিনটি উদযাপন করা হয়।
নারী দিবসের প্রতীক হলো বেগুনি রং। যেমন লাল রং হলো বিশ্ব শ্রম দিবস, সবুজাভ নীল রং হলো বিশ্ব শান্তি দিবস এবং সবুজ রঙ হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতীক। নিজস্ব রং থাকে সব দিবসেরই। সেসব রঙের পেছনে লুকিয়ে থাকে কোনো না কোনো ইতিহাস। বেগুনি রংকে মনে করা হয় সুবিচার ও মর্যাদার প্রতীক। এটি নারীর জন্য একটি প্রতিবাদের রংও বলা যায়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আইডব্লিউডি ডটকম নারী দিবসের রং নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। বেগুনি রঙের সংমিশ্রণ, যেখানে সবুজ ও সাদা দেখা হয় নারীর সমমর্যাদার প্রতীক হিসেবে।
মূলত ১৯০৮ সালে এর শুরুটা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়ন থেকে। বেগুনি রংকে নারীর ন্যায়বিচার ও সম্মানের প্রতীক মনে করা হতো। সেইসঙ্গে সবুজ হলো আশা ও সাদা বিশুদ্ধতার প্রতীক। এর একশো বছরেরও বেশি সময় পর, অর্থাৎ ২০১৮ সাল থেকে নারী দিবসের থিম কালার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বেগুনি রং। এই রং দিয়ে বোঝানো হয় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকেও। এটি যেন মনে করিয়ে দেয়, নারীর শক্তি সূর্যের রশ্নির মতোই।
এবি/এইচএন