বাণিজ্য ডেস্ক: ঢাকা মহানগরে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সেপ্টেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে। এ মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চালের সঙ্গে চিনি যুক্ত করা হলেও, তা সব জায়গায় পাওয়া যাবে না।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য যেমন: তেল ও ডাল সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জুলাই মাস থেকে এই বিক্রি কার্যক্রমে টিসিবি পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদফতরের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেয়া চাল যুক্ত হয়েছে।
চলতি মাসের বিক্রি কার্যক্রম সারা দেশে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে উল্লেখ করে টিসিবি জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরের বিক্রি কার্যক্রম বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন করা হবে।
এ বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারদের দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে বলেও জানানো হয়।
সেপ্টেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল বা রাইসব্রান তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইসব্রান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
এদিকে এতদিন টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে ১ কেজি চিনিও কিনতে পারতেন। কিন্তু আগস্ট মাসের সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হয়নি।
এ মাসে সেটি আবারও বিক্রি কার্যক্রমের পণ্যতালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। উপকারভোগীরা সর্বোচ্চ ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি চিনির জন্য তাদের ৭০ টাকা গুনতে হবে। তবে এটি সব জায়গায় পাওয়া যাবে না।
প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
প্রধান ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে ভোজ্যতেল আমদানি বাড়াচ্ছে ভারত। দেশটি টানা দুই মাস ১ মিলিয়নের বেশি পাম তেল কিনেছে। এর মধ্যে গত আগস্টে ভারতের রিফাইনারিগুলোর ভোজ্যতেলের আমদানি ৫ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
এবি/ওশিন