নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন। আর একদিন পর পহেলা বৈশাখ। ঈদ ও নববর্ষ- দুই উৎসব ঘিরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের চাহিদার সাথে দামও বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, জাটকা ও ১ কেজির কম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। বড় ইলিশ নেই বললেই চলে।
প্রতি কেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা আর ১০০০ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০-৬০০ গ্রাম ইলিশ। এছাড়া ছোট চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুরের ১১ নম্বর, ৬ নম্বর ও মুসলিম বাজারে খোলা অল্প কয়েকটি মাছের দোকানে দেখা গেছে, ইলিশ, চিংড়ি ও রুইসহ অল্প কিছু মাছ বিক্রি হচ্ছে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম ছিল।
৬ নম্বর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের ছুটিতে মানুষ শহরে না থাকায় শুক্রবারও বাজারে ক্রেতা নেই। যে কয়েকটি দোকান খোলা আছে, সেগুলোতেও তেমন পণ্য নেই। দোকানে তারা অলস সময় পার করছেন।
তারা আরও জানান, চাঁদ রাতে ২৫০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও ১ দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম ১০ টাকা বেড়েছে।
মুসলিম বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আজকে মুরগি আসে নাই। অল্প কয়েকটা মুরগি আছে। রেট ২৬০ টাকা, পরিচিতদের কাছে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি।
লাল লেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২০-৩০ টাকা। প্রতি কেজি লাল লেয়ার ৩৮০ টাকা ও সোনালী মুরগি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ১১৫০-১২০০ টাকা ও প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।
তবে বাজারে শাক-সবজির দাম প্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে। সবজি ব্যবসায়ী রাকিব জানান, শাক-সবজির আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। চাঁদ রাতের পরে থেকে সবজির তেমন সরবরাহ নেই। ঈদে সবজির চাহিদা ও কম থাকে। খুচরা বাজারে কাস্টমার একেবারেই নাই।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৫০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০-১২০ টাকা, কাঁকরোল ১১০-১৩০ টাকা, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০-৬০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এবি/এইচএন