বাণিজ্য ডেস্ক: দেশের শেয়ারবাজারে টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে।
চলতি সপ্তাহের রোববার, সোমবার ও বুধবার শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র এক কার্যদিবস সূচক বাড়লো।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। কিন্তু মাঝে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ানোর কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে আবারও পতনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের।
তবে লেনদেনের শেষদিকে এসে বাজারে বিক্রির চাপ কমে যায়। ফলে দরপতন থেকে বেরিয়ে আসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। এতে একদিকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা পান বিনিয়োগকারীরা।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২১টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১২০টির। এছাড়া ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১১ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১২৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোল্ডেন সন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, বেস্ট হোল্ডিং, ফরচুন সুজ, গ্রামীণফোন, ফু-ওয়াং সিরামিকস, শাইনপুকুর সিরামিকস এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
এবি/এইচএন