বাণিজ্য ডেস্ক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (২৭ মার্চ) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে পরপর ৩ দিন সূচকের পতন ঘটেছে। যার ফলে ডিএসই ও সিএসইর সূচক ৩৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।
তবে এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একই সঙ্গে এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭১.৭০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১৪.৮১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১২.৮৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৮টি কোম্পানির, কমেছে ৩২১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৫৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স ৭২.১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪.৮৩ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৭.২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১১.২৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন, সিএসইতে ২২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯টির। দিন শেষে সিএসইতে ৯৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ২৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
এবি/এইচএন