বাণিজ্য ডেস্ক: রাজধানীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা জমে উঠেছে। গত ২১ জানুয়ারি দেশের বৃহৎ এ মেলার পর্দা ওঠার পর ক্রমে বাড়ছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভোক্তাদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ অদায়ের অভিযোগ কিছুটা কম হলেও মেলা জুড়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারি রয়েছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ভোক্তা অধিকার।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার বিভিন্ন স্টল ও ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ কেন্দ্র ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
বাণিজ্যমেলায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ভোক্তারা অভিযোগ করলেই আমাদের টিম রেসপন্স (পদক্ষেপ) করছে। অনেক সময় টিম এভেইলেবল না থাকলে আমরা পরবর্তী শিডিউলে অভিযোগগুলো আমলে নিচ্ছি। গত ২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দুজন ভোক্তা একটা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমরা সে প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
ভোক্তারা সচেতন হয়ে অভিযোগ করলেই প্রতিকার পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত দাম নিলে অবশ্যই ক্যাশ মেমো সঙ্গে নেবেন।
এদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি, নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য বিক্রি, ক্রেতা হয়রানি, অনুমতি ও আমদানিকারক এর তথ্য না থাকা বিদেশি পণ্য বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ করতে যেসব তথ্য প্রয়োজন:
অভিযোগের পূর্ণ বিবরণ, অভিযোগকারীর নাম, পিতা ও মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, পেশা ও মোবাইল নম্বর। জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইমেইল এড্রেস (যদি থাকে)। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা। প্রমাণস্বরুপ ক্রয়ের ভাউচার বা রশিদ অবশ্যই দিতে হবে।
এবি/এইচএন