নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের সমৃদ্ধিতে টেকসই সমাধান প্রদর্শনী করছে এশিয়া প্যাসিফিক রেয়ন (এপিআর)।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হয়েছে ১৮তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সিবিশন (ডিটিজি)। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে।
এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় টেক্সটাইল খাত ও টেকসই ফ্যাশন সমাধানের বর্ধমান চাহিদার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছে ভিসকোজ স্ট্যাপল ফাইবার (ভিএসএফ) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এশিয়া প্যাসিফিক রেয়ন।
বাংলাদেশকে এপিআর’র প্রবৃদ্ধির অন্যতম উৎস ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার উল্লেখ করে এশিয়া প্যাসিফিক রেয়নের মার্কেটিং অ্যান্ড ডাউনস্ট্রিম ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট তপন সান্নিগ্রাহি বলেন, মাত্র ৫ বছরে ইন্দোনেশিয়ার বাইরে এটি এপিআরের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে আমরা বাংলাদেশে ভিসকোজ ফাইবার বাজারের ৫৫ শতাংশ হিস্যার অধিকারী। এছাড়া আমরা টেকসই বিকল্প হিসেবে লায়োসেল নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে টেক্সটাইল খাত। ইতোমধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট রপ্তানিকারক এবং এশিয়ার দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
টেক্সটাইল খাতের বিকাশে সহায়তার পাশাপাশি টেকসই বিকল্প হিসেবে ভিসকোজ ও লায়োসেলকে জনপ্রিয় করে তুলতে বাংলাদেশের শীর্ষ টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে এপিআর।
এ বিষয়ে সান্নিগ্রাহি বলেন, বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে বহুল ব্যবহৃত ফাইবারগুলোর মধ্যে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে ভিসকোজ। এর ইজি-টু-ডাই সুবিধার কারণে পোশাক উৎপাদনের সময় বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবহার কমে আসছে। সেই সাথে বায়োডিগ্রেবল হওয়ায় এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব।
কাঁচামাল-ভিত্তিক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল গোল্ডেন ঈগল (আরজিই) গ্রুপের সদস্য এশিয়া প্যাসিফিক রেয়ন, যার সদর দপ্তর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি ৭৮০০ টন সক্ষমতা-সম্পন্ন সর্বাধুনিক ডাউনস্ট্রিম ইয়ার্ন (সুতা) স্পিনিং ফ্যাসিলিটি এশিয়া প্যাসিফিক ইয়ার্ন (এপিওয়াই) পরিচালনা করে।
সুতা বিক্রয়ের বাজারে নিজস্ব অনন্য অবস্থান ধরে রেখেছে এপিআর, পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট বাজারে ইতিবাচক ফলাফল তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে তারা।
ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামসহ ১৬টি দেশের ইয়ার্ন স্পিনার, ফ্যাব্রিক উৎপাদক, ও পোশাক প্রস্তুতকারকদের কাছে মানসম্পন্ন ভিএসএফ ও সুতা বিক্রি করছে এপিআর।
পুনর্ব্যবহারের উপযোগিতা নিশ্চিত করা ও দায়িত্বশীল উৎপাদন প্রক্রিয়ার আওতায় টেক্সটাইল খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনেও কাজ করে যাচ্ছে তারা। বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে টেক্সটাইল খাতকে আরও টেকসই করে গড়ে তুলতে কাজ করছে এপিআর।
এবি/এইচএন