সংগৃহীত
বাণিজ্য

বৃষ্টিতে সবজির দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশব্যাপী বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। বাজারে তুলনামূলক সবজি কম থাকায় বিক্রেতাদের অনেকটাই বেপরোয়া আচরণ দেখা গেছে। এতে সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরে ফিরতে হচ্ছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম। তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায়, যেখানে ২ দিন আগেও ছিল ৪০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

শীতের মৌসুমে সবচেয়ে কম দামে থাকার কথা যে সবজির, সেই ফুলকপি-বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকায়।

এছাড়া বাজারে টমেটো ১০০ টাকা, লাউ ৬০-৮০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। ২ দিন আগেও এই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়।

আজ বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। ফলে দামও তুলনামূলক বেশি। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করে পাওয়া যায়। এছাড়া লাউশাক ৫০ টাকায়, পালংশাক ২০ টাকা ও মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, শুক্রবার এলেই শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। সবজির দাম শুনলে মাথা গরম হয়ে যায়।

এখন প্রায় শীতের সব সবজিই বাজারে চলে এসেছে। তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে। না হয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে।

বাজারগুলোতে কোনো মনিটরিং কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও সিন্ডিকেটের কাছে যেন অসহায়।

এক ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, খারাপের দিনে এমনিতেই আয় রোজগার কম। তারপর আবার জিনিসপত্রের দাম বেশি। আমাদের মতো মানুষের হয়েছে যন্ত্রণা। ভারী কাজ করতে হয় বলে না খেয়েও থাকা যায় না। এ দামের বাজারে কিনে খাওয়াও কষ্ট।

শাক বিক্রেতা রাব্বি ইসলাম বলেন, সকালে কারওয়ান বাজারে গিয়ে খুব বেশি শাক পাইনি। কম করেই এনেছি। এর মধ্যেই আমার লাভটা বের করে নিতে হবে। আমাদেরও তো পরিবার সংসার আছে। ২ টা টাকা যদি লাভ না করতে পারি, তাহলে ব্যবসা করে কী লাভ!

২ দিনের বৃষ্টিতে অনেকেরই শাক নষ্ট হয়েছে। আজকের দিন এভাবে থাকলে দাম আরও বাড়তে পারে। তবে দিন ভালো হয়ে গেলে ২ দিনেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

আরেক সবজি বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে আমাদেরও সবজি নষ্ট হয়। তাই সব ব্যবসায়ীরাই কম কম কিনে। পাইকারি বাজারেও যে সবজি খুব বেশি, তা না। বৃষ্টির কারণে ঢাকায় সবজি কম ঢুকে। তাই বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে রাখতে হয়।

বিক্রেতা রাকিব মিয়া জানান, শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও চাহিদা তুলনামূলক বেশি। দাম বেশি হলেও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে, যা দেখে আমরাও অবাক।

তার মানে চাহিদা অনুযায়ী সবজির পরিমাণ কম। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

প্রধান উপদেষ্টার কাছে রোড ম্যাপ চেয়েছি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোড ম্যাপ...

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা করা উচিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলকে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা ক...

আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিবিতে থাকবে না আয়নাঘর। থাকবে না কোনো ভাত...

পূজায় নিরাপত্তায় থাকবে ২ লাখ আনসার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশে...

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৫ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্ট...

উপস্থানায় আসছেন অপু বিশ্বাস

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস...

বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্র নিহত 

জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে দুই স্কুলছা...

সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচি...

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৫ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্ট...

একদিনে ৩১ লাখ টাকা জরিমানা 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে একদিনে প্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা