ঈদের ছুটিতে ঢাকা এখন অনেকটা ফাঁকা। বাজারগুলোতে তেমন ভিড় নেই। এবার নিত্যপণ্যের দাম আগের মতো থাকলেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে মাংস ও মসলার বাজার চড়া।
রবিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে।
গরুর মাংস কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮২০ টাকায়।
মাছের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। তেলাপিয়া ও পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে। এ ছাড়া রুই ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়।
পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম আগের মতোই আছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ২১০-২২০ টাকা ও আদা ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের অন্যতম প্রয়োজনীয় পণ্য চিনি ও সেমাইয়ের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। প্যাকেটজাত চিনি ১২০ টাকা। লাচ্ছা সেমাই কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে । ব্র্যান্ড ভেদে ২০০ গ্রামের প্যাকেটজাত সেমাই ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ঈদ উপলক্ষে মসলার দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি দারুচিনির দাম ৪০ টাকা ও গোলমরিচের দাম ৮০ টাকা বেড়েছে। বাজারে এখন এলাচি প্রকারভেদে ৪ হাজার ৬০০ থেকে ৫ হাজার টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রকার ও মানভেদে প্রতি কেজি কিশমিশ ৫৬০-৭০০ টাকা, আলুবোখারা ৪৫০-৫০০ টাকা, কাঠবাদাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, পেস্তাবাদাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাজুবাদাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদের পরও যেন বাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকে সে দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।
আমারবাঙলা/জিজি