পেপ গার্দিওলা এবং তার স্ত্রী ক্রিস্টিনা সেরার ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম। ম্যানচেস্টার সিটির এই সফল ম্যানেজার এবং তার স্ত্রী তাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পূর্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত প্রথম এই বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ করে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গার্দিওলা ও সেরা পাঁচ বছর ধরে ভিন্ন দেশে বসবাস করছিলেন। সেরা বার্সেলোনায় এবং গার্দিওলা ম্যানচেস্টারে ছিলেন। ম্যানচেস্টার সিটি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গার্দিওলা আর সেরার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯৯৪ সালে। তাদের তিন সন্তান আছে– ২৪ বছর বয়সী মারিয়া, ২২ বছর বয়সী মারিয়াস এবং ১৭ বছর বয়সী ভ্যালেন্তিনা। ২০১৪ সালে বার্সেলোনার কাছে একটি অনুষ্ঠানে গার্দিওলা ও সেরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
স্পোর্ট জানিয়েছে, এই দম্পতি ডিসেম্বর মাসে তাদের সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের মধ্যেই এই খবর সীমাবদ্ধ ছিল। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদেরও বিষয়টি নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ না করার জন্য বলা হয়েছে। তবে তাদের সম্পর্ক এখনো ‘সম্পূর্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং বন্ধুত্বপূর্ণ’ রয়েছে।
ক্রিস্টিনা সেরা পেপ গার্দিওলার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলিতে সবসময় পাশে ছিলেন। ২০২৩ সালের জুনে ইস্তানবুলে গার্দিওলা যখন ম্যানচেস্টার সিটিকে ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে জয় এনে দিয়ে ট্রেবল জিতিয়েছিলেন, তখন সেরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একই বছর জুলাইয়ে উইম্বলডনে এই দম্পতিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
গার্দিওলা ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সেরার প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘আমার স্ত্রী অনেক কিছুতে সেরা, বিশেষ করে ফ্যাশনে। তিনি আমাকে বলেন কী পরতে হবে আর কী নয়। আমি যথেষ্ট স্মার্ট যে, বুঝতে পারি যেসব মানুষ আমার চেয়ে অনেক ভালো, তাদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।’
২০১৯ সালে সেরা তার পরিবারের ফ্যাশন কোম্পানি সেরা ক্লারেট পরিচালনার জন্য ম্যানচেস্টার ছেড়ে বার্সেলোনায় ফিরে যান। বিচ্ছেদের খবরের মাঝে গার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি মাঠেও কিছুটা চাপে রয়েছে, কারণ চলতি মৌসুমে তারা শীর্ষ চারে নেই। গার্দিওলার অধীনে এমন বাজে পারফর্ম্যান্স কখনো দেয়নি ম্যানসিটি।
এদিকে গত বছরটা পেপ গার্দিওলার জন্য বিস্মরণযোগ্য ছিল। কোচিং ক্যারিয়ারে এতো বাজে সময় কখনোই আসেনি তার। এবার ব্যক্তিগত জীবনে বড় ধাক্কা খেলেন এই স্প্যানিশ কোচ।
আমারবাঙলা/এমআরইউ