সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনাল দেখতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন মায়োর্কার খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-০ গোলে হারে মায়োর্কা। জেদ্দায় এই ম্যাচের পর স্থানীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেছেন মায়োর্কার দুই খেলোয়াড়ের স্ত্রীরা।
মায়োর্কার মিডফিল্ডার দানি রদ্রিগেজের স্ত্রী ক্রিস্টিনা পালভারা স্পেনের টিভি সাংবাদিকের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। ম্যাচ শেষে কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় তিনি এবং মায়োর্কার গোলকিপার ডমিনিক গ্রিফের স্ত্রীকে হয়রানি করেন স্থানীয় কিছু পুরুষ সমর্থক।
স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল এসপোর্তস আইবি৩-কে পালভারা বলেছেন, (স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়াটা ছিল বেশ জটিল। আমরা সন্তানদের নিয়ে একা ছিলাম এবং কোনো নিরাপত্তা ছিল না। সত্যিটা হলো এই দেশের কিছু পুরুষ খুব কাছ থেকে আমাদের ছবি তোলা শুরু করে এবং হয়রানিও করেছে।
পালভারা আরো বলেন, ডমিনিক গ্রিয়েফের স্ত্রী নাতালির সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। আমার মেয়ে তখন ঘুমিয়ে পড়েছিল। খুবই অস্বস্তি লেগেছে আমাদের। আমাদের রক্ষা করার মতো কেউ ছিল না।
গ্রিয়েফের স্ত্রী নাতালিয়া কালুজোভা এ নিয়ে কথা বলেছেন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার সঙ্গে। তার ভাষায়, কিছু পুরুষ আমাদের ভিডিও করেছে, ধাক্কা দিয়েছে, অযাচিতভাবে ছুঁয়েছে, আমাদের মুখের ওপর ফোন ধরেছে এবং ভিডিও করেছে।
মায়োর্কার ক্লাব অফিশিয়ালদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় প্রায় ২৫০ জন হয়রানির শিকার হয়েছেন। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, মায়োর্কার অন্য সব সমর্থক এবং অন্যান্য স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমও একই অভিযোগ করেছে। মোবাইল ফোনে তোলা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কা। তাতে দেখা গেছে, মায়োর্কার সমর্থকেরা হেঁটে চার্টার্ড বাসে ওঠার সময় রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরা কিছু পুরুষ সমর্থক ভিডিও এবং হাসাহাসি করছেন।
মায়োর্কার মিডফিল্ডার সের্হি দারদেরের বাবা কিকে দারদের ক্লাবটির নারী সমর্থকদের ১৫-২০ মিনিট ধরে হয়রানি হওয়ার সঙ্গে ‘অবরোধ’কে (সিজ) তুলনা করেছেন। মায়োর্কার অফিশিয়াল আলফনসো দিয়াজ এসপোর্তস আইবি৩ টিভিকে বলেছেন, নারীদের অযাচিতভাবে স্পর্শ করা হয়েছে যেটি পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
তিনি এই ঘটনা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়েছেন। এমনটি যেন আর না ঘটে আয়োজকেরা তা নিশ্চিত করবেন বলে মনে করেন দিয়াজ।
আমারবাঙলা/এমআরইউ