কাতারের দোহার এস্পায়ার একাডেমিতে সীমিত আয়োজনে হয়ে গেল ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠান। গত অক্টোবরে রদ্রির কাছে ব্যালন ডি’অর স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া ভিনিসিয়ুস জুনিয়র জিতেছেন এবারের দ্য বেস্ট মেন’স অ্যাওয়ার্ড। ২০০৭ সালের পর প্রথম ব্র্রাজিলিয়ান হিসেবে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার জিতলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে দারুণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।
রিয়ালের হয়ে স্প্যানিশ ও উয়েফা সুপার কাপও জিতেছেন ভিনিসিয়ুস। গত মৌসুমে ৩৯ ম্যাচে ২৪ গোল করার পাশাপাশি ১১টি গোল বানিয়ে দিয়েছেন। ১৭ বছর আগে কাকা সবশেষ ব্রাজিলিয়ান হিসেবে বর্ষসেরা হয়েছিলেন। এবার খরা কাটালেন মাদ্রিদ তারকা ফরোয়ার্ড।
১৯৯১ সালে ফিফার এই বর্ষসেরা পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু হওয়ার পর নানা ফরম্যাটে রোমারিও, রোনালদো নাজারিও (তিনবার), রিভালদো, রোনালদিনিও (দুবার) ও কাকার পর ষষ্ঠ ব্রাজিলিয়ান হিসেবে পুরস্কারটি পেলেন ভিনি। তবে ২০০৭ সালে কাকার পর এই পুরস্কার পাওয়া প্রথম ব্রাজিলিয়ান তিনিই।
ফুটবলে বর্তমানে ব্যস্ত সূচি চলছে। তাই ডিজিটালি এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে ফিফা। তবে কাতারে পাচুকার বিপক্ষে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ম্যাচ খেলতে রিয়াল দলবলসহ আগেভাগে যাওয়ায় মঞ্চেই পুরস্কার হাতে নিতে পারলেন ভিনিসিয়ুস।
তিনি বলেন, ‘এই জায়গায় আসা অসম্ভব মনে হয়েছিল। অপরাধপ্রবণ অঞ্চল সাও গনসালোর রাস্তায় খালি পায়ে ফুটবল খেলা একটি ছেলে ছিলাম আমি। যারা মনে করে এতদূরে আসা অসম্ভব, তাদের জন্য আমার এই পুরস্কার জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সতীর্থদের প্রতি, যাদের জন্য এখানে আসা। আমি লম্বা সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে চাই।’
ফিফার বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় হয়েছেন আইতানা বোনমাতি। বার্সেলোনা ও স্পেনের এই মিডফিল্ডার টানা দ্বিতীয়বার পুরস্কারটি জিতলেন।
প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে চমৎকার ওভারহেড গোল করে পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন আলেহান্দ্রো গারনাচো। ম্যানইউর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এটি ছিল বিশেষ গোল, আজীবন এই গোলের কথা মনে রাখবো। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’
শিকাগো রেড স্টার্স ও যুক্তরাষ্ট্রের এলিসা নায়েহের জিতেছেন বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কার। বছরের সেরা পুরুষ গোলকিপার হয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী ও দুইবার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
বর্ষসেরা নারী কোচ হয়েছেন এমা হায়েস। যুক্তরাষ্ট্রের কোচ প্যারিসে অলিম্পিক স্বর্ণ জিতেছেন। বছরের সেরা পুরুষ কোচ হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলত্তি।
ব্রাজিলের নারী ফুটবল লিজেন্ড মার্তাও পুরস্কার জিতেছেন। বর্ষসেরা গোলের জন্য প্রথম মার্তা অ্যাওয়ার্ড উঠেছে তার হাতে।
ছেলেদের বর্ষসেরা একাদশে রিয়ালের আধিপত্য। পাঁচ জন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন সেরা ১১ জনের মধ্যে। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে আছেন দানি কারভাহাল, টনি ক্রুস, জুড বেলিংহ্যাম ও আন্তোনিও রুদিগার। এ ছাড়া বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল ও ম্যানসিটির আর্লিং হাল্যান্ড আক্রমণভাগে আছেন। মাঝমাঠে দুই রিয়াল তারকার সঙ্গী ব্যালন ডি’অর জয়ী রদ্রি। ডিফেন্সে রুদিগার ও কারভাহালের সঙ্গে রুবেন দিয়াস ও সালিবা।
আমারবাঙলা/এমআরইউ