পাকিস্তান ক্রিকেটের ভেতরে কখন কী ঘটে তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না। হুটহাট অনেককিছুর পরিবর্তন হয়ে যায় দেশটিতে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির টেস্ট দলের কোচের চাকরি ছাড়েন জেসন গিলেস্পি। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে আসতে থাকে বড় খবর। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে অবসরের ঘোষণা দেন তিন ক্রিকেটার।
শুক্রবার বিকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দ্বিতীয়বারের মতো অবসরের ঘোষণা দেন অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। শনিবার সকালে জাতীয় দলের ক্রিকেট থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বিদায় নেন বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির।
এরপর ইমাদ ও আমিরের পথে হাঁটেন মোহাম্মদ ইরফান। শনিবার রাতেই পাকিস্তান জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা সবচেয়ে লম্বা ক্রিকেটার ইরফান অবশ্য এবারই প্রথম অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন ক্রিকেটারের জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেওয়ার ঘটনা এখন পাকিস্তানের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ইরফান। দীর্ঘদেহী পেসার লিখেছেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার সতীর্থ ও কোচদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, উৎসাহিত করেছেন এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতি তৈরি করেছেন, সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। যে খেলাটি আমাকে সবকিছু দিয়েছে, আমি তাকে সমর্থন করে যাব এবং উদ্যাপন করব।’
ইরফানের অবসর নেওয়াটা অবশ্য আনুষ্ঠানিকতাই। বয়স চল্লিশ পার হয়ে গেছে দুই বছর আগেই। তার ওপর পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলারও পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে।
বাঁহাতি এ পেসার পাকিস্তানের হয়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৮৬ ম্যাচ খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন ১০৯টি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা পড়লেও ক্রিকেট–বিশ্ব তাকে চেনার মতো করে চিনেছে ২০১২–১৩ মৌসুমে ভারত সফরের মাধ্যমে। সেই সফরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধোনি–যুবরাজ–গম্ভীর–কোহলি–রোহিত–রায়নাদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ইরফান।
তার উচ্চতাও আলাদা করে নজর কাড়ে। সাত ফুট এক ইঞ্চি উচ্চতার এই বোলারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা খেলোয়াড়। এ কারণে তিনি ‘টাওয়ার অব ক্রিকেট’ নামেও পরিচিত। ইরফানকে পাকিস্তানের জার্সিতে শেষবার খেলতে দেখা গেছে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ