ওমানের মাসকাটে চলমান এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ হকিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডকে ৭-২ গোলে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের দল। যার ফলে প্রথমবারের মতো হকির যুব বিশ্বকাপে দেখা যাবে বাংলাদেশকে। যুবাদের হাত ধরেই বাংলাদেশের নিরানন্দ হকিতে এল আনন্দের দিন।
মাসকটে মঙ্গলবারের ম্যাচে পুরোটা সময়ই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে মেহরাব হাসানের দল। জোড়া গোল করেছেন মোহাম্মদ জয় ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ডেডলক ভাঙেন জয়। তিন মিনিট পর পেনাল্টি কর্নারে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আমিরুল ইসলাম। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে আব্দুল্লাহর গোলে ব্যবধান হয় ৩-০। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষ মিনিটে থাইল্যান্ড গোল করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। তবে তারা তো ফিরতে পারেনি উল্টো বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় কোয়ার্টারে গোল আরও বেশি হয়েছে। ৩৪তম মিনিটে বাংলাদেশ আবারও গোলের ধারায় ফেরে। সতীর্থের পাসে মোহাম্মদ হাসান রিভার্স হিটে জাল কাঁপান। তবে ৩৫তম মিনিটে আবারও এক গোল শোধ দেয় থাইল্যান্ড। পেনাল্টি কর্নার থেকে ফুমি কৃটসানা দারুণ এক হিটে স্কোরলাইন ৪-২ করেন। ৩৬তম মিনিটে মোহাম্মদ ইসলামের পাসে মোহাম্মদ খান কিছুটা ধীরেসুস্থে থাইল্যান্ডের জালে বল পাঠান।
৩৯তম মিনিটে হয়েছে ষষ্ঠ গোল। নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান জয়। ৪৮তম মিনিটে আব্দুল্লাহও জোড়া গোল পূর্ণ করেন।
বিশ্বকাপে জায়গা পেতে ষষ্ঠ স্থানের মধ্যে থাকতে হতো বাংলাদেশকে। যেই লক্ষ্য এই জয়ের সুবাদে পূরণ হয়ে গেছে। এই জয়ে বাংলাদেশ এখন পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে। সে ম্যাচে হারলেও ষষ্ঠ হবে। অর্থাৎ যুব বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
আগামী বছর স্বাগতিক ভারতসহ যুব বিশ্বকাপে এশিয়া থেকে সাতটি দল খেলবে। ভারত এরই মধ্যে এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ হকির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ফলে স্বাগতিক হিসেবে নয়, সরাসরিই তারা যুব বিশ্বকাপে খেলবে। বাকি ছয় দলের মধ্যে একটি এখন বাংলাদেশও।
মাসকাটে ১০ দল নিয়ে জুনিয়র এশিয়া কাপে ছেলেদের বিভাগে খেলা শুরু হয় ২৬ নভেম্বর। বি গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওমানকে ৩-১ গোলে হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৬-০ গোলে হারে।
তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ২-২ গোলে ড্র করে শক্তিশালী মালয়েশিয়ার সঙ্গে। চতুর্থ ম্যাচেও ১–১ ড্র চীনের সঙ্গে। তারপর আজ এল প্রত্যাশিত জয়। যেই জয়ের সুবাদে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের।
আমার বাঙলা/এনবি