পেরুর লিমার ভিলা এল সালভাদর স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে দুটি ম্যাচের ফলাফল ৭-১ হয়েছে। যেখানে গ্রুপ এ-র দল আর্জেন্টিনা ৭-১ গোলে ইকুয়েডরকে এবং গ্রুপ বির দল কলম্বিয়া একই ব্যবধানে বলিভিয়াকে হারায়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দুই দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফুটবলে নান্দনিক খেলা উপহার দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই নিজস্ব সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করেছে। বাংলাদেশেও ব্যতিক্রম নয়। এদেশেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার নিজ দেশের বাহিরে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সমর্থক। এই দুই দলের মধ্যে খেলায় তো বটে, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা অন্য কোনো দলের সঙ্গে খেলা ম্যাচগুলোতেও জয়-পরাজয় নিয়ে চর্চিত হয় নানা গল্প।
এর একটি হলো- সেভেনআপ গল্প। সেই গল্পে এবার যুক্ত হলো ইকুয়েডরের নাম। শুধু আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর নয়, বরং দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টে নতুন এই গল্পে এবার যুক্ত হয়েছে আরও দুটি দেশ কলম্বিয়া ও বলিভিয়া।
সেভেনআপ গল্প তৈরির ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেছেন উলিসেস সিলগুয়েরো, রদ্রিগো আলভারেজ, বাতিস্তা কাসো, ফ্যাব্রিসিও গালভান, ইভান মন্টেরস এবং লুকাস হঞ্জ। আর জাভিয়ের চিকুইতোর পা থেকে ইকুয়েডরের একমাত্র গোলটি আসে। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের দুইটিতে জয় ও দুইটিতে ড্র করে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে গ্রুপ পর্ব শেষে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চার দল। তাদের মধ্যে গ্রুপ ‘এ’ থেকে প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনা এবং গ্রুপ ‘বি’ থেকে ব্রাজিল ও কলম্বিয়া। প্রথম সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়ের প্রতিপক্ষ রানার্সআপ কলম্বিয়া এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ জুলাই ব্রাজিলের মিনেইরাও স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে পর্যুদস্ত হয়েছিল ব্রাজিল। সেখান থেকেই ব্রাজিল ফুটবলকে নিয়ে বাংলাদেশে সেভেনআপ গল্প শুরু করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা।
.
আমার বাঙলা/এসএইচ