আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি আরো ৯৪ দিন। আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি এখনো ঘোষণা করেনি আইসিসি। এমনকি টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হবে কিনা, তা নিয়েও আছে অনিশ্চিয়তা।
কারণ, পাকিস্তানে দল পাঠাতে রাজি নয় ভারত সরকার। এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) এবার কোনো ছাড় দিতে চাইছে না। যে করেই হোক, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিজেদের মাটিতে আয়োজন করতে চাইছে পিসিবি।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের রেষারেষির মধ্যেই শনিবার থেকে বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ট্রফির এ ভ্রমণে সহযোগিতা করছে দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক লজিস্টিক কোম্পানি ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’। ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে টুর্নামেন্টের আকর্ষণ বাড়াতেই আইসিসির এমন উদ্যোগ।
শনিবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদকে দিয়ে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ট্যুর। রবিবার নিয়ে যাওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী স্থান তক্ষশীলা ও খানপুরে। ট্রফি প্রদর্শনীর শুরুর দিকে থাকবেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের পর টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চলা বাকি দেশগুলোতেও হবে ট্রফি প্রদর্শনী। দেশগুলো ঘুরে ট্রফিটি আয়োজক দেশ পাকিস্তানে ফিরবে আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী দল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এখানেও ট্রফি নিয়ে আসা হবে। সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রদর্শনী হবে আগামী ১০ থেকে ১৩ ডিসেম্বর। ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ট্রফি প্রদর্শনের কথা রয়েছে।
সর্বশেষ বাংলাদেশে আইসিসি আয়োজিত কোনো ট্রফি নিয়ে আসা হয়েছিল গত বছরের আগস্টে। সেটি ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি, যা ফটোসেশনের জন্য পদ্মা সেতুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এখন প্রশ্ন থেকে যায়, ভারত সরকার যেহেতু পাকিস্তানে দলকে পাঠাতে চায় না, তা ছাড়া পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে ট্রফির প্রদর্শনী নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইসিসির কাছে আপত্তি জানিয়েছে, তাহলে কি ভারতে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে?
উত্তর হলো, হ্যাঁ। ভারতেই সবচেয়ে বেশি ১২ দিন ট্রফির প্রদর্শনী হবে। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় ভারতে থাকবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২৭ জানুয়ারি ট্রফিটি আবারো পাকিস্তানে ফিরবে।
পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরে ট্রফি ট্যুর নিয়ে ভারতের আপত্তির পর প্রদর্শনীর সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সূচিতে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন মুজাফফরাবাদের নাম নেই। দুই দেশের বিরোধপূর্ণ কোনো অঞ্চলে ট্রফি না নেওয়ার বিষয়টি পিসিবি নিশ্চিত করেছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ