আগামী ১৫ নভেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটায় আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে মুখোমুখি হবে ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে। স্বভাবতই প্যারাগুয়ে টিম লিওনেল মেসিকে রুখার উপায় খুঁজছে। টিম ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্টরা আর্জেন্টিনা ও মেসিকে রুখার যে টেকনিকের আশ্রয় নিয়ে তা হাস্যকর বলে অনেকের মত।
এদিন যেসব প্যারাগুইয়ান মেসি–ভক্ত খেলা দেখতে মাঠে আসবেন, তাদের জন্য বিশেষ নিয়ম করেছে প্যারাগুয়ের ফুটবল ফেডারেশন। যেখানে ‘মেসি ১০’ লেখা জার্সি তো বটেই, আর্জেন্টিনার জার্সি পরেও ঢুকতে পারবে না স্থানীয় কোনো দর্শক।
প্যারাগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের লাইসেন্সিং ম্যানেজার ফার্নান্দো ভিলাসবোয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সতর্কবার্তা দিয়েছি। আমরা প্যারাগুয়ে কিংবা নিরপেক্ষ জার্সি ছাড়া গ্যালারির স্বাগতিক সমর্থকদের অংশে প্রবেশের অনুমতি দেব না। প্রতিপক্ষের জার্সি পরে যারা আসবেন, তারা থাকতে পারবেন না।’
‘হোম’ গ্যালারিতে প্রতিপক্ষের জার্সি নিষিদ্ধ করে প্যারাগুয়ে মূলত মাঠে মেসি-ম্যানিয়া থামাতে চাচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ফুটবলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গোল ডটকম’ প্যারাগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের এই নিয়মকে বলছে ‘অ্যান্টি–লিওনেল মেসি’ ব্যবস্থা। মেসির সঙ্গে এই নিয়ম সম্পৃক্ত থাকার আভাস অবশ্য ভিলাসবোয়ার পরের কথাটিতেই পাওয়া যায়, ‘যেসব ক্লাবের জার্সিতে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের নাম থাকবে, সেগুলোকেও আমরা অনুমতি দেব না।’
প্যারাগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনের এই কর্মকর্তা অবশ্য বিশেষ কোনো খেলোয়াড়ের কারণে এমন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি আরো যোগ করেন, ‘এটি নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নয়। ফুটবলারদের ক্যারিয়ারের প্রতি আমাদের সম্মান আছে। এটি শুধু আমাদের ঘরের মাঠে সুবিধা পাওয়ার জন্য জরুরিভাবে নেওয়া।’
মেসির কারণে গ্যালারিতে তার দলের জার্সি নিষিদ্ধ করার কথা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত মার্চে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন কাপের ম্যাচে গ্যালারির নির্দিষ্ট কিছু অংশে প্রতিপক্ষের জার্সি নিষিদ্ধ করেছিল ন্যাশভিলে।
এবার অপেক্ষার পালা। প্যারাগুয়ে ফুটবল টিম ম্যানেজমেন্টের এমন আজব ও হাস্যকর উপায় কতটুকু কাজে দিবে তা সময়ই বলে দিবে। সব সময় কি আগেভাগে ভেবে রাখা টেকনিক মেসিকে আটকাতে পরে?
আমারবাঙলা/আরইউ