মাঠে তখনো নামেনি বার্সেলোনা। এর আগেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল দলটি। পরে কাতালান ডার্বিতে (নগর প্রতিদ্বন্দ্বী) এস্পানিওলের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের জয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত করে নিলো বার্সা।
১২ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট এখন ৩৩। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের পয়েন্ট ২৪।
রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে ঘরের মাঠে বার্সার হয়ে জোড়া গোল করেন দানি ওলমো। বার্সার জার্সিতে এবারই প্রথম একাধিক গোল করলেন স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বার্সার ৫ ম্যাচে এ নিয়ে ৫ গোল করলেন তিনি। বাকি এক গোল করেন রাফিনহা।
উড়তে থাকা বার্সেলোনার জন্য অক্টোবর ছিল বড় পরীক্ষার মাস। বড় দলগুলোর বিপক্ষে হ্যান্সি ফ্লিকের দল কেমন করে, সেটিই দেখার অপেক্ষায় ছিল অনেকে। এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বার্সাকে নিয়ে সংশয় ছিল না খুব একটা। এরপরেও কাতালান ডার্বির মাহাত্ম্যটা ছিল আলাদা।
প্রথম গোলের আগেই তিনবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। সেই তিন সুযোগের দুটি নষ্ট করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ওলমো, একবার বার উঁচিয়ে মেরেছেন। অন্যবার লক্ষ্যে বল রাখলেও তা তুলে দিয়েছেন গোলরক্ষকের হাতে। লামিনে ইয়ামালের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে এস্পানিওলকে প্রাথমিকভাবে বাঁচিয়ে দেন গার্সিয়া।
এসবই ছিল প্রথম ১২ মিনিটের আগে। এরপরের বার্সা পিকচার পারফেক্ট। এদিন বার্সার গোল তিনটিই এসেছে প্রথমার্ধে। ১২ মিনিটে দানি ওলমোর গোলে এগিয়ে যায় দলটি। বার্সেলোনার নতুন সেনসেশন লামিনে ইয়ামাল অবদান রেখেছেন এই গোলে। তার দারুণ এক ট্রিভেলা পাসে পা ছুঁইয়ে গোল করেন দানি ওলমো।
২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনহা। মার্ক কাসাদোর জোগান দেওয়া বলে এসপানিওলের আগুয়ান গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বার্সাকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন রাফিনহা। এ মৌসুমে বার্সার জার্সিতে রাফিনহার এটি ১১ তম গোল।
৮ মিনিট পর বার্সাকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন ওলমো। বার্সা তৃতীয় গোলটি পাওয়ার আগেই দলটি জালে বল পাঠিয়েও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি এস্পানিওল। তবে এরমাঝে বার্সা নষ্ট করেছে একাধিক সুযোগ। ৬৩ মিনিটে পুজাভি পুয়াদোর গোলের আগে-পরে আরও দুবার বার্সার জালে বল পাঠিয়েছিল এস্পানিওল।
তবে এখানেও খেল দেখিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের হাই লাইন অব ডিফেন্স। অফসাইডের কারণে গোল পাওয়া হয়নি এস্পানিওলের। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বার্সারও একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বার্সেলোনাকে।
আমারবাঙলা/আরইউ