ক্রীড়া ডেস্ক: এলাম, দেখলাম, জয় করলাম- বিশ্বকাপে রিশাদ হোসেনের গল্পটা এরকমই বলা যায়। বিশ্বমঞ্চে কোনো বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনার আগে কখনোই খেলেনি বাংলাদেশের হয়ে। এবার রিশাদ খেললেন এবং উদ্ভাসিত হলেন আপন আলোয়। ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার এতটাই দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন যে, ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের সবাইকে!
প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই ১৪ উইকেট শিকার করলেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট এটিই। রেকর্ডটি অবশ্য আগের ম্যাচেই স্পর্শ করেন রিশাদ। ভারতের বিপক্ষে সেদিন দুই উইকেট নিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব আল হাসানের ১১ উইকেটের কীর্তি।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করে সাকিবকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেন এই লেগ স্পিনার। পরে তিনি এক ওভারেই রাহমানউল্লাহ গুরবাজ ও গুলবাদিন নাইবকে আউট করে আরও সমৃদ্ধ করেন নিজের অর্জন। গোটা টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচ খেলে ২৫ ওভার বোলিং করে ১৪ উইকেট রিশাদের। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৭৬। সাকিব ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ২০২১ আসরে। সেবার ৬ ম্যাচ খেলে ২২ ওভার বোলিং করেছিলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার, ওভারপ্রতি রান দিয়েছিলেন মাত্র ৫.৫৯।
প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসে এবার আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের আরেক তরুণ। শরিফুল ইসলাম ফিট থাকলে যার খেলার সুযোগই হয়তো হতো না, সেই তানজিম হাসান এবার নজর কাড়েন আগ্রাসী বোলিং দিয়ে। আফগানদের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ে উইকেটশূন্য থাকলেও ১১ উইকেট নিয়ে তিনি স্পর্শ করেন সাকিবকে। ২১ বছর বয়সী পেসার ৭ ম্যাচ খেলে বল করেছেন ২৪ ওভার। রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৬.২০। এছাড়া ২০১৪ আসরে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার আল আমিন হোসেন, ২০১৬ আসরে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব।
২০১৬ আসরেই স্রেফ ৩ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড এতদিন ছিল ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার একার। ২০২১ আসরে ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট শিকার করেন শ্রীলঙ্কান লেগ স্পিনার। এবার সেই রেকর্ড স্পর্শ করেন ফাজালহাক ফারুকি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তানজিদ হাসানকে এলবিডব্লিউ করে আফগান পেসারের উইকেট এখন ১৬টি। রেকর্ডটি শুধুই নিজের করে নেওয়ার হাতছানি তার সামনে আছে সেমি-ফাইনালে।
এবি/এইচএন