ক্রীড়া ডেস্ক: আশির দশকে চালু হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সেই প্রথা থেমে যায়। ২০২১ সাল থেকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার নামে এটি পুনরায় শুরু করেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র ও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের জন্মদিন ৫ আগস্টে গত তিন বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সেই পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ক্রীড়াঙ্গনে সামগ্রিক অবদানের জন্য ক্রীড়াবিদ, সংগঠকরা এই পুরস্কার পেয়ে থাকেন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার অবশ্য আট ক্যাটাগরি রয়েছে।
আজীবন সম্মাননা, ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, স্পন্সর, ফেডারেশন, সাংবাদিক, উদীয়ামন ক্রীড়াবিদ ও ধারাভাষ্যকার। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে আগ্রহী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ২১ মে'র মধ্যে নির্দিষ্ট ছকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সকল ফেডারেশন, জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সহ নানা দপ্তরে এই বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেছে।
অনেক ক্রীড়াবিদ, সংগঠক আবেদন করে পুরস্কার নেয়ার পক্ষপাতী নন। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার আবেদনের বিষয়টি জোর থাকলেও এনএসসি অ্যাওয়ার্ডে ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন না করলেও বিবেচনায় আসেন।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার মূলত বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ, সংগঠকরা আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পান বর্তমান ক্রীড়াবিদরা। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অনেকেই পুরস্কার পান না তাদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
এবি/এইচএন