ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা বিরাজ থাকায় চার ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষে আজ মাঠে নামছে স্বাগিতক ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে তৃতীয় ওয়ানডেটি শুরু হবে।
আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সিরিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুন জয় দিয়ে শুরু করে নিউজিল্যান্ড।
কার্ডিফে প্রথমে ব্যাট করে চার ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯১ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৬ বল বাকী রেখে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে ১১১ ও মিচেল ১১৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।
নিউজল্যান্ডের বোলাররা সাউদাম্পটনে দ্বিতীয় ওয়ানডের শুরুতে জয়ের ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলো। নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টের তোপে ৫৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় ইংলিশরা। পরবর্তীতে সাত নম্বরে নামা লিয়াম লিভিংস্টোনের ঝড়ো ইনিংসে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নির্ধারিত ৩৪ ওভারে ৭ উইকেটে ২২৬ রান করে ইংল্যান্ড।
৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৮ বলে অপরাজিত ৯৫ রান করেন লিভিংস্টোন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে শততম ওয়ানডে খেলতে নামা বোল্ট ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা জবাবে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়। সফরকারীরা ১৪৭ রানে অলআউট হয়।
ইংল্যান্ডের দুই পেসার ডেভিড উইলি ও রিচ টপলি ৩টি করে এবং মঈন আলি ২টি উইকেট নিয়ে নেন। ৭৯ রানের জয়ে ইংলিশরা সিরিজে সমতা আনে।
ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে তৃতীয় ওয়ানডেতেই সিরিজে লিড নেয়া লক্ষ্যের কথা জানালেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য সিরিজে লিড নেয়া। এজন্য জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ালেও, আরও ভালো পারফরমেন্স করতে চাই আমরা।’
এদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দ্বিতীয়বারের মত লিড নিতে মরিয়া। দলের ওপেনার কনওয়ে বলেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে বোলাররা দারুন করলেও আমাদের ব্যাটিং হতাশাজনক ছিলো। আশা করছি, তৃতীয় ম্যাচে জ¦লে উঠবে ব্যাটাররা। সিরিজে দ্বিতীয়বারের মত লিড নিতে চাই আমরা।’
দুই দলের মধ্যে জয়ের হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও, দশ বছর ধরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ জিততে পারেনি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৯৩বারের মোকাবেলায় ইংল্যান্ডের জয় ৪২টিতে এবং নিউজিল্যান্ডের জয় ৪৪টিতে। ৩টি ম্যাচ টাই ও ৪টি পরিত্যক্ত হয়।
ইংল্যান্ডের দল:
জস বাটলার (অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক), মঈন আলি, গাস অ্যাটকিনসন, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, জো রুট, জেসন রয়, বেন স্টোকস, রিস টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড ও ক্রিস ওকস।
নিউজিল্যান্ড দল :
টম লাথাম (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, ডেভন কনওয়ে, লুকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন, এডাম মিলনে, ড্যারিল মিচেল, হেনরি নিকোলস, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি ও উইল ইয়াং।
এবি/এইচএন