ক্রীড়া ডেস্ক: ইতালিয়ান এন্টি ডোপিং অথরিটিস (এনএডিও) জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঔষুধ সেবনের দায়ে জুভেন্টাস ও ফ্রান্সের মিডফিল্ডার পল পগবাকে ফুটবল থেকে অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি বছরের গত ২০ আগস্ট উদিনেসের বিপক্ষে জুভেন্টাসের ৩-০ গোলের জয়ের ম্যাচটির পর পগবার বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে পরীক্ষা করে পগবার দেহে অতিরিক্ত মাত্রার টেস্টোটেরোন শনাক্ত করেছে এনএডিও।
ইতালিয়ান এন্টি ডোপিং অথরিটিস (এনএডিও) জানিয়েছে, এর মাধ্যমে পগবা এন্টি-ডোপিং আইন ভঙ্গ করেছে।
এক বিবৃতিতে জুভেন্টাস জানিয়েছে, সতর্কতার অংশ হিসেবে পগবাকে তারা সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনায় সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা জুভেন্টাসের আছে।
পগবার ডোপিং পরীক্ষাটি করা হয়েছে ‘এ’ নমুনার ভিত্তিতে। যদি ‘বি’ নমুনার ফলও পজিটিভ আসে তবে অন্তত চার বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হতে পারে পগবাকে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে পগবার এজেন্ট রাফায়েল পিমেন্তা বলেছেন তারা দ্বিতীয় নমুনার অপেক্ষায় আছেন। এই ফলাফলের আগে এখনই কোন মন্তব্য করা যাবেনা। তবে পগবা কখনোই কোন আইন ভঙ্গ করতে চাননি, এ ব্যপারে নিশ্চয়তা দেয়া যায়।
২০২২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে আবারো জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছিলেন পগবা। এর আগে ২০১২-১৬ সার পর্যন্ত তুরিনের জায়ান্টদের হয়ে চারটি সিরি-এ ও দুটি ইতালিয়ান কাপ জয় করেছেন। ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছেন।
২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী দলের তারকা স্ট্রাইকার ছিলেন পগবা। ২০২২-২৩ মৌসুম অবশ্য ইনজুরির কারনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পগবা মাঠ ও মাঠের বাইরে বিতর্ককে সঙ্গী করেই খেলে গেছেন।
ছোটবেলার বন্ধু ও এক ভাইয়ের সাথে বিশাল অংঙ্কের অর্থের প্লট নিয়ে জালিয়াতির বিষয়ে পগবাকে জড়িয়ে বিতর্ক কম হয়নি।
পগবা চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে মাত্র ১০ ম্যাচ খেলেছেন, কাতার বিশ্বকাপেও ইনজুরির কারনে ফ্রান্সের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি।
সম্প্রতি পগবা আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গত মৌসুমটা মোটেই ভাল যায়নি। সে কারণেই আবারো ভালভাবে ফুটবলে ফেরার আকাঙ্খা বেড়েছে। যে সমস্ত মানুষ তোমার সবচেয়ে বেশী ঘনিষ্ঠ তাদের কাছ থেকেই তুমি দু:খ বেশী পাবে।
তিনি বলেন, শত্রু কোথায় আছে তা সহজেই বের করা যায়। কিন্তু পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে থেকে কেউ যদি তোমাকে ধ্বংস করতে চায় তবে সেটা বের করা সত্যিই কঠিন। তোমাকে এজন্য সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। অর্থ-সম্পদ মানুষকে পরিবর্তন করে দেয়, পরিবারকে ভেঙ্গে দেয়।
অর্থ জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে দারুন ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন ফ্রান্সের এই তারকা মিড ফিল্ডার।
এবি/এইচএন