ক্রীড়া ডেস্ক: বিপিএল নিয়ে আপনি এখন বলতেই পারেন, রাত যত গভীর হয়, বিপিএল ততই জমে ওঠে। চট্টগ্রামের ওপেনার তানজিদ তামিম যেমনটা বলছিলেন, রাতের ম্যাচে ঠিকই রান ওঠে। গতকালের সেই কথার প্রতিফলন দেখা গেল পরের ম্যাচেই। ফরচুন বরিশাল স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ১৮৭ রান। সেটা আবার খুলনা টপকে গিয়েছে ১৮ ওভারেই। এভিন লুইসের বিধ্বংসী ফিফটির পর আনামুল হক বিজয়ের ৬৩ রানের ইনিংসে খুলনা পেয়েছে সহজ জয়।
ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক বিজয়। তবে এদিন পুরস্কারের অর্থ নিজের কাছে রাখেননি তিনি। পুরস্কারের অর্থ দান করেছেন দেশীয় ক্রিকেটের পরিচিত কোচ জাফরুল এহসানকে। একসময় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম, আবু হায়দার, রিফাত প্রধান, মুস্তাফিজুর রহমান, ইসাসির আলী চৌধুরীদের নিয়ে গড়া বয়সভিত্তিক দলের কোচ ছিলেন।
বিসিএলে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে শিরোপাও জয় করেছিলেন জাফরুল এহসান। তবে এই মুহূর্তে তিনি আছেন মাঠ থেকে দূরে। হাসপাতালের বেডে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন দেশের এই কোচ। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা সেই কোচের কাছেই তুলে দিয়েছেন আনামুল হক বিজয়।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিয়ে বিজয় বলেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে আমাদের কথোপকথন হয়। আমাদের এহসান স্যার, তিনি এখন হসপিটালে আছেন। উনি ক্যান্সারের পেশেন্ট। তো আমরা চিন্তা করেছিলাম আমরা এই ম্যাচটা জিতবো এবং ওনাকে ডেডিকেট করবো। এবং যে উইনিং প্লেয়ার হবে আমাদের টিমে সেটা তাকে আমরা কন্ট্রিবিউট করবো। তো এটা (ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার) তাকে আমরা কন্ট্রিবিউট করছি অ্যাজ এ টিম।’
ম্যাচসেরা হলেও নিজের কৃতিত্ব নিতে নারাজ বিজয়। জানালেন এভিন লুইসের ইনিংসের সুবাদেই এমন জয়, 'আপনারা তো লুইসের খেলা দেখলেন। আসলে লুইসই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আমরা শুধু ক্যারিং করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি জাস্ট ক্যারি করেছি। আফিফও তাই করেছে, আমরা শুধু দলকে... আগের দিনের মতো ফিল করেছি যে ৭-৮ করে লাগবে (ওভারপ্রতি রান)। কিন্তু খেলাটা আসলে পুরোটা ঘুরিয়ে দিয়েছে লুইস। অবশ্যই ১৯০ রান মিরপুরে তাড়া করা সহজ নয়। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে ও খেলাটা বদলে দিয়েছে।'
এবি/এইচএন