ক্রীড়া ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে পাকিস্তান। যে কারণে শেষ ম্যাচটি ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচ। এদিন হাই স্কোরিং পিচে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ১৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। যে কারণে হারের আশঙ্কা ছিল প্রবল।
অবশেষে পাকিস্তান বোলিং নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ডকে ৪২ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচলো। পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইফতেখার আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নেওয়াজের বোলিং তোপে ১৭.২ ওভারে ৯২ রানে অলআউট হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। জয়ের সঙ্গে একটি রেকর্ডও গড়েছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে কখনো এত কম রান নিয়ে জয় পায়নি কোনো দল।
রোববার ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। সাইম আইয়ুবের পরিবর্তে আজ পাকিস্তানের ইনিংস ওপেন করেছেন অভিষিক্ত ব্যাটার হাসিবুল্লাহ খান। তবে অভিষেক ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ৩ বলে ০ রানে টিম সাউদির বলে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। অর্থ্যাৎ দলীয় স্কোরকার্ড চালু না হতেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর ৫৩ রানের জুটি করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ম্যাচে এটিই ছিল পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটি। ধীরগতিতে খেলে ২৪ বলে ১৩ করে ইশ সোদির বলে ফিলিপসের হাতে বাবর ধরা পড়লে জুটি ভেঙে যায়।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। এছাড়া ফখর জামান করেন ১৬ বলে ৩৩ রান। মিডলঅর্ডারে ১৪ বলে ১৯ রান করেন সাহিবজাদা ফারহান এবং শেষ দিকে ৬ বলে ১৪ রান করেন আব্বাস আফ্রিদি। অবশেষে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করে পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৬৪ রানের মাথায় ৫ উইকেট ছিল না নিউজিল্যান্ডের। এরপর ২৮ রান তুলতে আরও ৫ উইকেট হারায় কিউইরা। অবশেষে ৯২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন গ্লেন ফিলিপস।
পাকিস্তানের হয়ে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইফতেখার আহমেদ। দুটি করে উইকেট তুলে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নেওয়াজ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সাউদি, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ৫ ম্যাচে ২৭৫ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ফিন অ্যালেন।
এবি/এইচএন