ক্রীড়া ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতকে কেন্দ্র করে তুরস্কের ক্লাবগুলো ইসরায়েলি ফুটবলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এবার তুরস্কের প্রথম বিভাগের দল বাশাকশেহির থেকে ফেরত পাঠানো হলো ইসরায়েলি ফুটবলার এডেন কারজেভকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের জের ধরেই তার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাবটি।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েলের ক্লাব ম্যাকাবি নেতানিয়া থেকে কারজেভকে কিনেছিল বাশাকশেহির। এরপর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দি হন কতিপয় ইসরায়েলি।
স্বদেশিদের মুক্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন কারজেভ। যে কারণে তাকে দেশে ফেরত পাঠায় বাশাকশেহির। কারজেভকে ইসরায়েলের ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিবে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বাশাকশেহির বলেছে, ‘ক্লাবের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী খেলোয়াড়কে জরিমানা করা হয়েছে এবং বিদেশে খেলাধুলার ক্যারিয়ার চালিয়ে যাওয়াই তার জন্য সঠিক বলে মনে হয়েছে।
এদিকে কারজেভকে ধারে নেওয়া ইসরায়েলের ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২০২৩–২৪ মৌসুমে বাকি সময়ের জন্য তুর্কি দল বাশাকশেহিরের সঙ্গে চুক্তির পর ২৩ বছর বয়সী এদেন কারজেভ ধারে ফিরবেন ম্যাকাবি তেল আবিবে। এই চুক্তি স্থায়ী করার সুযোগও আছে।’
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কারজেভের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনে বাশাকশেহির। কারজেভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে লিখেছিলেন, ‘তাদের এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনো’। যেটা মোটেই মেনে নিতে পারেনি ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকা তুরস্ক।
প্রসঙ্গত, এর আগে তুর্কি সুপার লিগ ম্যাচে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বার্তা প্রদর্শন করায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইসরায়েলের আরেক ফুটবলার সাগিব জেহেসকেল। পরে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে গত সোমবার ইস্তাম্বুলের আদালতে জেহেসকেলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর তিনি তুরস্ক ছেড়ে যান।
এবি/এইচএন