ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান আম্পায়ার্স কমিটি আম্পায়ারদের মান উন্নয়নে নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য ৭০ জন আম্পায়ারের পরীক্ষা নিয়েছে বোর্ড। তাতে দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছেন মাত্র ৯ আম্পায়ার। বাকি ৬১ জনই সফল হতে পারেননি।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মাধ্যমে আম্পায়ারদের এই পরীক্ষা নেয় বোর্ড। তিনটি বিভাগে তথা রাইটিং, স্পিকিং এবং রিডিংয়ে আলাদা আলাদা নম্বরের পরীক্ষা হয়। তিনটি বিভাগের নম্বর যোগ করে ৭০ আম্পায়ারকে তিনটি ধাপে ফেলা হয়। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি রাইজিংবিডিকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে।
সব বিভাগে দক্ষতা প্রমাণ করা ৯ আম্পায়ার আছেন প্রোফিসিয়েন্ট (দক্ষ) ইউজার ক্যাটাগরিতে। ৯ জনের মধ্যে তিনজন নারী আম্পায়ার। ১০ থেকে ৩১ পর্যন্ত ২২ জন আছেন ডেভলপিং (উন্নতির দিকে) ইউজার ক্যাটাগরিতে। আর ৩২ থেকে ৭০ জন আছেন বেসিক ইউজার ক্যাটাগরিতে। অর্থাৎ প্রথম ৯ জন ছাড়া বাকি ৬১ জনই এখনো ইংরেজিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার মতো দক্ষ নন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) হতে শুরু করে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কিংবা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ভাষার অদক্ষতা থাকলে ডিপিএল কোনোমতে পার করতে পারলেও বিপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে যে কোনো আম্পায়ারের জন্য।
বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘একজন আম্পায়ারকে ম্যাচ পরিচালনার জন্য ইংরেজি ভাষায় অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। না হয় বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলবে কিভাবে? আমরা যেহেতু আন্তর্জাতিক মানের আম্পায়ার তৈরি করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাই ভাষার দিকেও জোর দিয়েছি।’
ইংরেজিতে দক্ষতা তৈরির জন্য এআইইউবির সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছে বোর্ড, ‘আমরা এআইউবিতে আম্পায়ারদের ইংরেজি কোর্সের ব্যবস্থা করবো। যারা দক্ষ নন, তারা এই কোর্স করে নিজেকে তৈরি করবেন। কেউ যদি না করেন কিংবা ইংরেজিতে দক্ষ না হন তাহলে ভবিষ্যতে ম্যাচ পরিচালনার জন্য বিবেচিত হবেন না’-আরও যোগ করেন মিঠু।
মাঠে যে কোনো পরিস্থিতি সামলানো ছাড়াও আম্পায়ার্স রিপোর্ট লিখতে হয়ে ইংরেজিতে। সে ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় অদক্ষতা থাকলে রিপোর্টেও সঠিকভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারবেন না। এসব বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক মানের আম্পায়ার তৈরি করার জন্যই মূলত ইংলিশ টেস্টের মতো পরীক্ষা নিচ্ছে বোর্ড। শুধু তাই নয় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অধীনে নানা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিসিবির প্রোগ্রাম হেড ডেবিড মুর আইসিসির সঙ্গে এই বিষয়ে আম্পায়ার্স কমিটিকে সহযোগিতা করছেন। আইসিসির অধীনে প্রথমে হবে একটি ফাউন্ডেশন কোর্স। এখানে ১ ঘণ্টার একটি পরীক্ষা হবে। পাশ করার পর ধাপে ধাপে আইসিসির লেভেল ওয়ান এবং লেভেল টু আম্পায়ারিং কোর্সের জন্য মনোনীত হবেন আম্পায়াররা।
আইসিসির প্রোগ্রাম নিয়ে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আইসিসির সঙ্গে বড় প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। ফাউন্ডেশন কোর্স হবে। এরপর ধাপে ধাপে লেভেল ওয়ান এবং লেভেল টু কোর্স করানো হবে।
এবি/এইচএন