ক্রীড়া ডেস্ক: চলতি এশিয়া কাপে পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ দারুণ ফর্মে রয়েছেন। গতির ঝড় তুলে এখন পর্যন্ত এই এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনিই। সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে আরও ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হয়েছিলেন এই স্পিডস্টার। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। সে ম্যাচেই বিস্ময় জাগিয়েছে তার পায়ের জুতা।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে বাংলাদেশকে মাত্র ১৯৩ রানে গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। যার মধ্যে ৯টিই পাকিস্তানের পেসাররা শিকার করে। একাই ৪টি উইকেট শিকার করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রউফ। ব্যাটিংস্বর্গ খ্যাত গাদ্দাফিকে বাংলাদেশের জন্য মৃত্যুকূপে পরিণত করেছিলেন পাক পেসার কোয়ার্ট্রেট।
জবাবে ৬৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। এই বিশাল জয়ে ফাইনালের দৌড়ে পাকিস্তান বাকিদের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। সুপার ফোরের বাকি ম্যাচগুলো কলম্বোয় হওয়ায় বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়ে পয়েন্ট হারানোর ভয় থাকছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে হারিস রউফের মতো আলোচনায় আছে তার জুতাও। এদিন মাঠে 'ছেঁড়া' জুতা পরে বল করতে দেখা গেছে রউফকে।
মূলত জুতা নিয়ে সমস্যা পেসারদের জন্য সাধারণ একটা ব্যাপার। জুতা সঠিক মাপের না হলেই সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর ফলে বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করে। এ ক্ষেত্রে ডানহাতি পেসারদের ক্ষেত্রে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় নখ উঠে গিয়ে বড় ধরণের ইনজুরির ঝুঁকিও থাকে। তাই অনেক সময় পেসাররা বুড়ো আঙুলে টেপ পেঁচিয়ে তারপর জুতা পরেন।
তবে আরও একটি পথ খোলা আছে, যেটি করতে দেখা গেল রউফকে। রউফ শুরুতে যে জুতা পরে বোলিং করছিলেন সেগুলো সম্ভবত নতুন। তাই নিজের পায়ে ব্যবহারের উপযোগী করে নিতে পারেননি। তাই দ্রুত ড্রেসিং রুম থেকে তার পুরনো জুতা জোড়া নিয়ে আসা হয়। তার জুতার বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুলের জায়গায় সে মাপেই ফুটো করা আছে। যার ফলে বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করলেও আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা নেই। পায়ে চাপ পড়লেও আঙুল কোথাও ধাক্কা খায় না। সে কারণেই স্বস্তি নিয়ে বোলিং করতে পরেন রউফ।
তবে রউফই প্রথম পেসার না যে ফুটোওয়ালা জুতা পরে মাঠে নেমেছেন। অতীতে পাকিস্তানেরই কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস ও শোয়েব আখতাররা এমন জুতা পরে খেলেছেন। এছাড়া অজি স্পিডস্টার ব্রেট লি ও ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ শামিকেও একই পথ অবলম্বন করতে দেখা গেছে।
এবি/ওশিন