আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখাতে না পারলেও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ বাঁ-হাতি পেসার কেইথ বার্কার। এবার নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের দায়ে বড় শাস্তির মুখে পড়লেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে বার্কারের শরীরে নিষিদ্ধ দ্রব্য শনাক্ত হয়। তারও আগে, মে মাসে এক ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন তিনি। এরপর ৫ মার্চ ইসিবির অ্যান্টি-ডোপিং নীতিমালার দুটি ধারা ভাঙার কথা স্বীকার করেন এই পেসার। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের ৪ জুলাই থেকে।
যদিও বার্কারের দাবি, তিনি উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় একটি বিকল্প ওষুধ নিয়েছিলেন, যা বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত। বিষয়টিকে ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট রিভিউ প্যানেল। তারা আরও জানায়, বার্কার ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ম ভাঙেননি এবং পারফরম্যান্সে বিশেষ কোনো সুবিধাও পাননি।
তবে নিয়ম তো নিয়মই। তাই ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধই হতে হচ্ছে হ্যাম্পশায়ারের ৩৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ২৪.৩৭ গড়ে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বার্কারের নামের পাশে রয়েছে ১৬৭ ম্যাচে ৫৩৩ উইকেট এবং ৫৪৫০ রান।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বার্কার। বলেন, 'গত নয় মাস ছিল ভীষণ কঠিন। শুনানি চলাকালীন সময়টা যেন কঠিনতম শাস্তির মতোই কেটেছে। আজকের রায় আমার পুরো ক্যারিয়ার শেষ করে দিচ্ছে। আমি কৈশোর থেকে যে খেলাটিকে ভালোবেসে এসেছি, সেখান থেকে কিছু প্রশাসনিক ভুল আমাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আমার পাশে থাকার জন্য হ্যাম্পশায়ার পরিবার ও সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।'
তার অনুপস্থিতি নিয়ে হতাশ হ্যাম্পশায়ার ক্লাবও। ক্লাবের পরিচালক গাইলস হোয়াইট বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য দুঃখজনক। এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুলের ফল। কেইথ বরাবরই ব্যতিক্রমী ক্রিকেটার। জুলাইয়ের পর থেকে তাকে আবার দলে দেখতে চায় সবাই। গত ছয় বছরে সে ভক্তদেরও প্রিয় হয়ে উঠেছে।'
আমারবাঙলা/জিজি