আজ শোকাবহ ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশের ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়। এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে রচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ২৫ ফেব্রুয়ারির ক্ষত আজও পীড়া দেয় দেশবাসীকে।
তাই সরকার এ দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
এখন থেকে প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা’ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ দিবস পালন ও দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, সরকার প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ওই তারিখকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা’ দিবস (সরকারি ছুটি ছাড়া) হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবরের পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এ সিদ্ধান্ত যথাযথ পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাকে অনুরোধ করা করা হয়েছে পরিপত্রে।
দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আজ সকালে রাওয়া ক্লাবে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে বিএনপিও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং আজ পালন করছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বনানী সেনা কবরস্থানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির শীর্ষনেতারা। বিকালে রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সারাদেশে জেলা-মহানগরে দোয়া অনুষ্ঠান হবে।
এদিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আমারবাঙলা/এমআরইউ