পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যশস্য অত্যন্ত সুলভমূল্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এসব কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রথম অধিবেশন শেষে এসব কথা বলেন খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, আগামী মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাসে প্রায় সাত লাখ টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে দেড় লাখ টন করে দুই মাসে তিন লাখ টন চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে। এটি পাবে ৫০ লাখ পরিবার, প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে।
তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে আরো ৫০ লাখ টন করে দুই মাসে এক লাখ টন চাল যাবে। ওএমএসের মাধ্যমে যাবে আরো এক লাখ টন। এ ছাড়া ঈদের সময় এক কোটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে একদম ফ্রি। এমন আরো কিছু কার্যক্রম রয়েছে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এসব চাল বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে বড় সহায়তা করবে। বিতরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ করবে কিন্তু এর প্রধান তদারকি করবেন ডিসিরা। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এসব কার্যক্রম আগে নিবিড়ভাবে তদারকি হতো না। আমরা ঢাকার সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছি বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করার জন্য।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ঢাকা বিভাগের কমিশনারের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি, আবারো মিটিং করব। এ বিভাগের যে ১২২টি বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাকসেল আছে, টিসিবি ছাড়াও, প্রয়োজনে সেগুলো ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদারকি করতে বলেছি।
এ সময় খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুই মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ