রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তারা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১, মিরপুর-১৪, রামপুরা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধের খবর পাওয়া যায়।
মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের প্রতিবাদে আজ সকালে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ওইসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন আফিসগামী মানুষ। অবরোধকারীদের যাত্রীসহ চলমান সিএনজি অটোরিকশা আটকে দিতে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক মিটার ব্যবহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গণভবন ও কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর আসাদ গেট থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই জরিমানা ও কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। বিআরটিএর নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনো গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধানও রয়েছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ