ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিউলি আক্তার নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় ১০ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মারা গেছেন শিউলি আক্তার। ভর্তি রয়েছেন তার দুই ছেলে ও স্বামীসহ ১০ জন।
এর আগে গত শুক্রবার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন- জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সূর্য বানু (৫০), সোহেল মিয়া (৩৮), সুমন মিয়া (৩২), শিউলি আক্তার (৩২), শারমিন আক্তার (৩৫), শামিম (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুমাইয়া (৩)।
দগ্ধদের সেদিন গভীর রাতে ঢাকার জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে আনা হয়।
শনিবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, আট মাসের এক শিশু যন্ত্রণায় কাবু। স্বজনের কোলে শুয়ে করছে মায়ের অপেক্ষা। অবুঝ শিশুটি জানে না, মায়ের দেহও ঝলসে গেছে আগুনে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, শিউলির শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, এখনো বেঁচে থাকা ১০ জনের মধ্যে চারজন এইচডিইউতে, একজন আইসিইউতে, একজন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং চারজন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চারজনের অবস্থা গুরুতর। শারমিন নামে একজনকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী শুক্রবার বলেছিলেন, জিরাবো এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা হয়েচে। তিনটি শিশুসহ ১১ জন পুড়ে গেছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ