গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার রাজবাড়ি উপজেলায় প্রথমে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। পরে একটি মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের ভাইয়েরা রক্তাক্ত হয়েছে। তারা হামলার শিকার হয়েছে অথচ প্রশাসনের কেউ তাদের সাহায্য করেনি। এজন্য নিজেদের রক্ষা করার প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর পুলিশ সদস্যদের বহিষ্কার করতে হবে। নতুন করে তরুণদের নিয়োগ দিতে হবে। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের অফিসসহ যেখানেই তাদের অবস্থান আছে, সেখানেই অভিযান চালিয়ে সিলগালা করতে হবে।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের সঙ্গে যোগ দেন সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। এক পর্যায়ের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মাটিতেই বসে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই দুই নেতা। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ছাত্রলীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ প্রভৃতি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে, গাজীপুরে মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সাবেক মন্ত্রীর স্বজন ও অনুসারীদের হামলার শিকার হয়ে ছাত্র-জনতার ২০ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আমার বাঙলা/ এসএ