টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১২ মিনিটে শুরু হয় এ মোনাজাত এবং শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি ও কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমামে এবং খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
মোনাজাতে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এ সময় আল্লাহর দরবারে রহমত, মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করেন তারা।
ইজতেমা ময়দানে আসা মুসল্লিরা চোখের জল ফেলে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তারা নিজেরা যেন সঠিক পথে চলতে পারেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অটুট থাকে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এসব কামনা করেন।
এদিকে আখেরি মোনাজাত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। শনিবার রাত ১২টা থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। শুরায়ে নিজামের প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের তিন দিনের এ ইজতেমায় লাখো মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
ইজতেমার আয়োজকরা জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে। এর মধ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশগ্রহণ করেছে ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা।
এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মুসল্লিরা। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম আয়োজন হয়েছিল ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদে। দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্প, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পর ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে নিয়মিত আয়োজন হয় বিশ্ব ইজতেমার। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র প্রতি বছর ইজতেমার শেষ দিনে তাবলিগের সাথী ছাড়াও সাধারণ মুসলমানরা ভীড় জমান তুরাগ তীরে। কানায় কানায় ভরে উঠে পুরো টঙ্গী এলাকা। অনেকে আগের রাত থেকেই ময়দানের আশপাশে অবস্থান নেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ