রাজধানীর হাজারীবাগের বাড্ডানগর এলাকার একটি বাসা থেকে সুমাইয়া আক্তার সুমি (২৭) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুমাইয়ার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায়। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে হাজারীবাগের বাড্ডানগরে ভাড়া থাকতেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা নাগাদ সুমাইয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুমাইয়ার চাচা সুমন মিয়া বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর আগে পরিবারের সম্মতিতে দই ব্যবসায়ী জুবায়ের হোসেন সোহাগের সাথে বিয়ে হয় সুমাইয়ার। তাদের ছয় মাসের একটি মেয়ে এবং পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত রাতে পরিবারের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে সুমাইয়া। স্বামীর সঙ্গে কোনো রাগ বা অভিমানের কথা জানা যায়নি। আজ ভোরের দিকে স্বামী সন্তানদের এক রুমে ছিটকিনি দিয়ে আটকিয়ে পাশের রুমে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ সাহা বলেন, ‘আজ সকালের দিকে খবর পেয়ে হাজারীবাগের বাড্ডানগরের একটি বাসা থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ফ্যানে ঝুলে থাকা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করি। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এসআই আরো জানান, নিহতের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এটি আত্মহত্যা। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি