ডাকসেবার বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৬৮তম। গত ১৭ ডিসেম্বর ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের প্রকাশিত সমন্বিত ডাক উন্নয়ন সূচক-২০২৪ (2IPD) প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ পোস্টের (2IPD) স্কোর ৫৪!
এর আগে ২০২৩, ২০২২, ২০২১ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশ পোস্টের স্কোর ও অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৩০ (১১৯তম/১৭২), ১৩ দশমিক ৯০ (১৩৩তম/১৭২), ১০ দশমিক ০২ (১৪৩তম/১৬৮) ও ১৫ দশমিক ৮০ (১২৮তম/১৭০)। ডাক অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ পোস্ট ১০টি ডেভেলপমেন্ট লেভেলের মধ্যে লেভেল ৬-এ উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ ও ২০২২ সালে ছিল যথাক্রমে লেভেল ৩ ও ২-এ। ডেভেলপমেন্ট লেভেল ও র্যাঙ্কিংয়ে বড়সড় এক লাফ দিয়েছে বাংলাদেশ পোস্ট। প্রতিবেদনে আস্থা, পৌঁছানো, প্রাসঙ্গিকতা ও সহনশীলতা এ চার সূচকের ওপর ভিত্তি করে একেকটি দেশের স্কোর ও ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আস্থায় ৭২, পৌঁছানোয় ৫৪ দশমিক আট, প্রাসঙ্গিকতায় চার দশমিক আট, সহনশীলতায় ৯১ দশমিক আট এবং তিন বোনাস পেয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত ৪২তম (স্কোর ৭৩), পাকিস্তান ৮০তম (স্কোর ৪৬ দশমিক চার), শ্রীলঙ্কা ৬৭তম (স্কোর ৫৪ দশমিক তিন), নেপাল ১১৪তম (স্কোর ২৭ দশমিক তিন), ভুটান ১২৬তম (স্কোর ২২ দশমিক দুই), এবং মালদ্বীপ ১০৩তম (স্কোর ৩২ দশমিক তিন) অবস্থানে রয়েছে।
শীর্ষ তিনে রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি (স্কোর ১০৮ দশমিক ছয়), সুইজারল্যান্ড (স্কোর ১০৮ দশমিক ছয়) এবং জাপান (স্কোর ১০৫ দশমিক নয়)।
ইউপিইউর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, সহনশীলতা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৯১ দশমিক আট; যা এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে ব্যতিক্রমভাবে বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ তার ডাকব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত যৌক্তিক বাধার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, ব্যতিক্রম ছাড়া পৌঁছানো সূচকে বেশিরভাগ এলডিসি দেশের তুলনামূলকভাবে কম স্কোর দেখা যায়। তবে ব্যতিক্রমী হিসেবে বাংলাদেশ এবং ইথিওপিয়া উচ্চ স্কোর করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৫৪ দশমিক আট ও ইথিওপিয়া ৫২; যেটি ভালো আন্তর্জাতিক সংযোগ নির্দেশ করে।
মাসিক ডেটা কমপ্লায়েন্স রিপোর্টে বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে প্রতিনিয়ত ১-২০-এর মধ্যে অবস্থান, মেইল ভলিউম বৃদ্ধি, কাস্টমার সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন, ইউপিইউ ভেলিডেটেড এক্সপোর্ট, ট্রান্সপোর্ট এবং ডেলিভারি স্ট্যান্ডার্ডে প্রতিনিয়ত উন্নতি, বিভিন্ন স্টেজে ট্র্যাকিং ডেটা ক্যাপচার বৃদ্ধি, প্রায় শতভাগ কাস্টম ডিক্লারেশন অনলাইনে প্রদান, যথাসময়ে ওঞগঅঞঞ রেফারেল রেসপন্স, ডমেস্টিক মেইল মনিটরিং সিস্টেমে ট্র্যাকিং ডেটা ক্যাপচার বৃদ্ধি ইত্যাদি র্যাঙ্কিংয়ে এগোনোর ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ডাক অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ