অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমাকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেসবুকের পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাবে ঢাকা। উনি (নরেন্দ্র মোদি) তার মতো করে একটি জিনিস বলেছেন, আমরা আমাদের মতো করে বলবো।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য নিয়ে আইন উপদেষ্টা যে মন্তব্য করেছেন, সেটি তার ব্যক্তিগত মতামত।
এদিকে মিয়ানমারের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সীমান্তবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ব্যাংককে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি, সেখানে সংগঠিত অপরাধ এবং দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরাপদে এবং অধিকারের সঙ্গে ফেরত নিতে হবে। আজকের বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে না। সেখানে একটি যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশের একটাই লক্ষ্য, যখন মিয়ানমার শান্ত হবে, তখন যাতে ফেরত পাঠানো যায়। এ লক্ষ্যেই কাজ করবে বাংলাদেশ।
ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন। ডি-৮ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দেশ এর সদস্য। সম্মেলনের সাইড লাইনে কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ।
কোন কোন দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হবে- জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এগুলো শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়। তবে কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অবশ্যই হবে।
সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমারে যুদ্ধাবস্থা চলার কারণে সেন্টমার্টিনে যাওয়া-আসার রুট সাময়িক বদল হচ্ছে। পরবর্তীতে বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে।
এর আগে, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নরেন্দ্র মোদি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লেখেন, ‘আজ বিজয় দিবস, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মোৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটিতে তাদের অসাধারণ বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে লিপিবদ্ধ থাকবে।’
আমারবাঙলা/এমআরইউ