চেয়ারম্যান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতি দমনে তাদের কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে জনপ্রত্যাশিত বিষয়গুলো। যেসব বড় বড় দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— সেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজরা যাতে ছাড় না পায়, সে কাজগুলো তারা জোর দিয়ে করবেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুদক থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে এ দিন বিকাল সাড়ে ৩টায় দুদকের নতুন চেয়ারম্যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এবং কমিশনার হিসেবে সাবেক জজ কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী দুদকে যোগ দেন।
কমিশনের অপর সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তিনি যোগ দেবেন বলে দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
দুদকের নতুন চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন বলেন, দুর্নীতি দমনে তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করবেন বলেও জানান। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। সেগুলো আপনারা (সাংবাদিকদের) তদন্ত করে দেখতে পারেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছে। শেষ পর্যন্ত কিছুই পায়নি। এটা একটা হয়রানি বলে তিনি মনে করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৫ (১) ধারার বিধানমতে ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫ নম্বর আইন)- এর ৬ (১) ধারার বিধানমতে উল্লিখিত দুইজনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার নিয়োগ করা হয়।
আমার বাঙলা/ এসএ