পুলিশ কমিশন গঠন ও দেশ-বিদেশের মহলে র্যাবের কর্মকাণ্ডে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে বিলুপ্তের সুপারিশ করেছে বিএনপি গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিটি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশ বাহিনী সংস্কার সম্পর্কে বিএনপির প্রস্তাব ও সুপারিশমালা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব এস এম জহির ও সাবেক ডিআইজি সাঈদ হাসান খান উপস্থিত ছিলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে পুলিশ বাহিনীর সীমাহীন অত্যাচার ও নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশত্রুতে পরিণত হওয়া এ বাহিনী রাষ্ট্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে রয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ বাহিনীর অপরিহার্যতার কারণে একে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে এ বাহিনীকে জনবান্ধব করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান সুপারিশ হলো পুলিশ কমিশন গঠন করা। এ কমিশন ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করবে। সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কমিশনের প্রধান হবেন এবং সদস্য সংখ্যা হবেন ৮জন। এতে সরকারি ও বিরোধী দল থেকে সংসদ সদস্য থাকবেন।
স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি নাগরিক কমিটি থাকবে।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অনেক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিএনপির এই কমিটি র্যাব বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেক পুলিশ অফিসার সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়ে পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
তারা কীভাবে গেলেন একজন সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের পালিয়ে যাওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারে। তবে এই মুহূর্তে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।
আমার বাঙলা/এনবি