সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দু-দেশের সীমান্ত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ ড্রোন মোতায়েন করেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
দেশটির পত্রিকা নবভারত টাইমস এক প্রতিবেদনে এই দাবি করে। যদিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নবভারতের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্কের তৈরি অত্যাধুনিক ‘বায়রাকতার টিবি ২’ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মূলত এ ধরনের ড্রোনগুলো নজরদারি এবং নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতার জন্য পরিচালনা করা হয়। ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ অঞ্চল ঘিরে এই ড্রোন মোতায়েন উদ্বেগ আরো বাড়িয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে ভারত।
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (আইডিআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্ক থেকে ১২টি বায়রাকতার টিবি ২ ড্রোনের প্রথম ধাপে ছয়টি পেয়েছে। বাংলাদেশের ডিফেন্স টেকনোলজি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়ন দেখা দেয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক খবর প্রচার করা শুরু করে ভারতীয় গণমাধ্যম। এর মধ্যে বেশি সংখ্যক খবরই ভুয়া বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।
সংস্থাটি বলেছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যা দিন যাচ্ছে আরো বাড়ছে। ভারতীয় সীমান্তে ছড়িয়ে পড়া এসব উত্তেজনায় ঘি ঢালছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
আমারবাঙলা/এমআরইউ