রাজধানীর অধিকাংশ সুপার শপ ও মুদি দোকানে নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল। তিন বা পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল থাকলেও ১/২ লিটারের বোতল নেই। কিছু কিছু মুদির দোকানে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দাম বেড়ে কেজিদে দাম গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা। তবে বাজারে শীত মৌসুমি সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় তুলনামূলক দাম কম।
শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, প্রায় এক মাস ধরে কম্পানিগুলো বাজারে ঠিকমতো তেল দিচ্ছে না। এখন হাতে গোনা দু-তিনটি কম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে, তাও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, এখন দু-একটি কোম্পানি সয়াবিন তেলের বোতল দোকানগুলোতে দিলেও তারা তেলের সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য ধরিয়ে দিচ্ছে।
তবে বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ ঠিক আছে। খোলা সয়াবিন তেল আগের চেয়ে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির ফুলকপি ও বাঁধাকপি এলেও দাম তুলনামূলক বেশি। প্রতি পিস ছোট আকারের ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকার মধ্যে, মাঝারি আকারের লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, শিম ৭০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পেঁপে ৫০ টকা, টমেটো ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙ্গা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।
এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৪০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালংশাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে ডজন প্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৩৫ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংসের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, মানভেদে নতুন আলু ১০০- ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৩ টাকা, আটাশ চাল ৬১ টাকা, কাটারি নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আমনধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুড়া পোলাও’র চাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আমার বাঙলা/এনবি