গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর)। ১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেলকক্ষে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকার সুপ্রিমকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তার সমাধি রয়েছে।
দিনটিকে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের বিকাশ ও এতদঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে অবদান রেখে গেছেন, জাতি তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব; দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশ এবং এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, বাংলার শেষ প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।
আমারবাঙলা/আরইউ