ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’র ব্যানারে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও চলমান বিভিন্ন ইস্যুর কারণে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রবেশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে সংলাপে যোগ দিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রবেশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
দলগুলোর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল আসে। এছাড়া জামায়েত ইসলামের আমির শফিকুর রহমারসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দলও আছে।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মহাসচিব মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির আব্দুল বাসিদ আজাদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও জমিয়াতে উলামে ইসলামের সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ ইউসুফি।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এসে আবার ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে ফেরত গিয়েছেন।
এর আগে, গতকাল (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভারতের আগরতলায় হাইকমিশনে হামলা ও দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ লক্ষ্যে তিনি সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) বসবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন প্রধান উপদেষ্টা। বুধবার বিএনপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ধর্মীয় দল ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা।
আমার বাঙলা/ এসএ