বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের কর্মচারীদের ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ভূমি সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির সাংবাদিকদের কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান।
আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান, নতুন পে-কমিশন গঠনের আগে পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু, রেশনিং প্রথা চালু, অবসরের বয়স বাড়ানো, পদনাম পরিবর্তন ও পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে আগামী বুধবার সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির বলেন, সচিবালয়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেই বিষয়টি বুঝে জনপ্রশাসন সচিব, ভূমি সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়েছেন। দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আমরা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেছি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সচিবালয়ে ব্যক্তিগত এবং প্রশাসনিক কর্মচারী আছেন দুই হাজারের ওপর। দীর্ঘদিন তারা বেতন এবং পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। এখন তাদের নয় দফা যে দাবি সেগুলো কোনোটাই অযৌক্তিক নয়। এসব দাবি পূরণ করা সম্ভব তবে সময়সাপেক্ষ। কিছু দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা গেলেও কয়েকটি রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি।
ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, সচিবালয়ের কর্মচারীদের এসব দাবি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ধাপে ধাপে তাদের এসব দাবি পূরণ করা হবে। আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (পিও) নয় দফা দাবিতে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দাবি পূরণ না হলে ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি।
.
আমার বাঙলা/এসএইচ