চট্টগ্রামে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কার ঘটনার পরদিনই চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে আবারও তাদের গাড়িতে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রাক। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী ব্রিজের দিকে একটি ট্রাক আবারও হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে বহন করা গাড়িতে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ক্ষতি হলেও তারা এখন সুস্থ আছেন।
এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজোলার চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসনাত ও সারজিস চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চুনতি ফারাঙ্গা এলাকা থেকে ফিরছিলেন। তাদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, দুটি কার ও একটি পাজেরো গাড়ি ছিল। সাইফুলের গ্রামের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি হাজী রাস্তার মাথা। ওই এলাকায় বহরের গাড়িগুলো গ্রামীণ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠছিল। প্রথমে ১২টি মোটরসাইকেল ও পাজেরো গাড়িটি মহাসড়কে ওঠে। ওই পাজেরো গাড়িতে হাসনাত-সারজিস ছিলেন। পরে একটি প্রাইভেট কার মহাসড়কে উঠতেই চট্টগ্রামমুখী একটি মালবাহী ট্রাক গাড়িটির সামনের অংশে ধাক্কা দেয়। এতে কারটির সামনের বাঁ দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেট কারটিতে হাসনাত-সারজিসের কয়েকজন সফরসঙ্গী ছিলেন।
এর আগে, চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে ফেরার পথে হত্যাচেষ্টার শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব সারজিস আলম। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। বুধবার রাতে একই ধরনের স্ট্যাটাসে সারজিস ও হাসনাত লিখেন, ‘মারবা? পারবা না। আমরা আবরার ও আলিফের উত্তরসূরী। মনে রেখো-শহীদেরা মরে না।
.
আমার বাঙলা/এসএইচ