২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগটি দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে ১৩ দফা দাবিতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের জড়ো হয় কয়েক লাখ হেফাজত নেতাকর্মী। ছত্রভঙ্গ করতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে অভিযান নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র্যাবের অভিযানে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। সংগঠনটির দাবি, ওই দুদিনে তাদের শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
সংগঠনটির নেতারা বলছেন, আলেম ওলামাদের নির্মূল করতে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানো হয়। এটিকে দ্বিতীয় কারবালা বলছেন তারা। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটশন বলছে, হেফাজতের গণহত্যার বিচার মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনেই হবে। এর আগে শাপলা চত্বরের ঘটনায় আরেকটি অভিযোগ জমা পড়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিউশনে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। পরে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ সারা দেশে তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়। এরমধ্যে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে গত ১৮ নভেম্বর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
.
আমার বাঙলা/এসএইচ