অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে এ নিয়োগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আরও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
সার্চ কমিটির কাছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দেওয়া তালিকায় অবসরপ্রাপ্ত এই সচিবের নাম সিইসি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সিইসি নিয়োগের তথ্য জানা গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বিএনপি যে দুজনের নাম প্রস্তাব করেছিল, তার মধ্যে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নাম ছিল। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে গেছেন। নাসির উদ্দীন বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
গত ৬ নভেম্বর অনুসন্ধান কমিটির কাছে তালিকা দিয়েছিল বিএনপি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, সিইসি পদে বিএনপির দেওয়া তালিকায় নাসির উদ্দীন ছাড়াও শফিকুল ইসলামের নাম ছিল। বিএনপির মিত্র দলগুলোর বেশির ভাগের তালিকাতেও এই দুই নাম ছিল। এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চারজনকে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাসির উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব ইনশাআল্লাহ। এ দায়িত্ব যখন আসছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।’
আমার বাঙলা/এনবি