সংগৃহীত ছবি
জাতীয়

সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরল ৪২৬ প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪২৬ জন এবং আহত ৮১৩ জন। এরমধ্যে ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৯ জন। এই সময়ে ৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, ৪ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৭৯ জন, বাসের যাত্রী ২৫ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২২ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ২৪ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৬৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু) ৬ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪৭টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৪টি শহরের সড়কে এবং ৫টি অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৬৩২টি। এরমধ্যে বাস ৯৮, ট্রাক ১০৬, কাভার্ডভ্যান ১৮, পিকআপ ২১, ট্রাক্টর ১১, ট্রলি ৪, লরি ১০, ড্রাম ট্রাক ৭, তেলবাহী লরি ২, রোড রোলার ১, মাইক্রোবাস ১৬, প্রাইভেটকার ১৫, অ্যাম্বুলেন্স ৫, পাজেরো ২, মোটরসাইকেল ১৭৩, থ্রি-হুইলার ৯৬ (ইজিবাইক- সিএনজি- অটোরিকশা- অটোভ্যান- লেগুনা, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ১৮ (নসিমন- ভটভটি- আলমসাধু- চান্দের গাড়ি- মাহিন্দ্র- হ্যালোবাইক, বাইসাইকেল-রিকশা-রিকশাভ্যান ১৩ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১৬টি।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়,-ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে।

সুপারিশ হিসেবে বলা হয়- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮' বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

আমার বাঙলা/এমআর

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নওগাঁয় গাছের হাট নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ঔদ্ধত্যতা

নওগাঁয় সপ্তাহের প্রতি বুধবার বসা গাছের হাটের জায়গা...

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে নেই কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা লক্ষাধিক রোহিঙ্গা...

আইপিএলে ১৩ ক্রিকেটারের নাম পাঠালো বিসিবি

পরবর্তী আরও তিনটি মৌসুমের আইপিএলের জন্য ১৩ ক্রিকেট...

নাগরিক সেবা পেতে চরম দুর্ভোগে রাজধানীরবাসী

নাগরিক সেবা পেতে চরম দুর্ভোগে রাজধানীর দুই সিটি ক...

পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচল শুরু ২ ডিসেম্বর

পদ্মাসেতু হয়ে বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-যশোর-খুলনা-বেনা...

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি ছোড়া সেই তৌহিদুল গ্রেফতার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের ওপর...

ফার্মগেটের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকে লাগা...

এখনো পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন-ভাতা বন্ধ

৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত যে পুলিশ সদস্যরা কর্...

শাটল বাস চালু করলো ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথমবারের মতো শাটল বা...

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো শিশুর শরীরে ‘বার্ড ফ্লু’ শনাক্ত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো কোনো শিশুর শরীরে সংক্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা