নিজস্ব প্রতিবেদক : আটক সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।
আরও পড়ুন : জামিন পেলেন ৩৭ এইচএসসি পরীক্ষার্থী
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
এর আগে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগ। সেখানে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এজন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : রাজধানীতে বিজিবির টহল জোরদার
দলটির সভাপতি ছাড়াও এতে অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বৈঠকে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একইভাবে তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমার বাংলা/এমআর