সংগৃহিত
জাতীয়

গরমে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী উৎপাদন না বাড়ায় বেড়েছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে প্রায় ৮৫০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আর লোডশেডিং বেশি হচ্ছে মধ্যরাতে। ওই সময় গড়ে ৭০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা ও উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় সারা দেশে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ছিলেন, যা মোট গ্রাহকের প্রায় ৫৮ শতাংশ। ঘূর্ণিঝড়ের পর সংযোগ স্বাভাবিক হতে থাকলে চাহিদাও বাড়তে থাকে।

এর মধ্যেই দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের কারণে আরো বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বরাবরই বিতরণ কোম্পানিগুলোকে সমন্বয় বা লোডশেডিং করে চলতে হয়। সাড়ে তিন-চার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিংও করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে বিদ্যুতে যে পরিমাণ ঘাটতি হচ্ছে, সেটি মূলত গ্যাস সংকট ও বিতরণ ব্যবস্থা অনেক পুরনো হওয়ার কারণে হচ্ছে। তবে অন্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিপিডিবি।

সূত্র জানায়, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনে যে পরিমাণ ঘাটতি দেখানো হচ্ছে, তা বিতরণ কোম্পানিগুলোর হিসাবের চেয়ে অনেক কম। দেশের সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি)। আরইবিতে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে এক-দেড় হাজার মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুতের বাইরে রাজধানীর দুই বিতরণ কোম্পানি হলো ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পান লিমিটেড (ডেসকো)।

এ দুই বিতরণ কোম্পানির গ্রাহকরাও লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে। তবে লোডশেডিং বড় আকারে না হলেও মধ্যরাত ও ভোরে হচ্ছে। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট পরিস্থিতি আরো অসহনীয় করে তুলছে। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াট। গড় চাহিদা সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্যাসের অভাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্ধেক সক্ষমতা বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য ও ডলার সংকটের কারণে সেখান থেকেও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় কমে গেছে আমদানীকৃত বিদ্যুতের পরিমাণও।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্যানুযায়ী দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১২ হাজার ২১৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে সর্বোচ্চ ছয় হাজার মেগাওয়াট। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ৬ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট। সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট। তরল জ্বালানির সক্ষমতা ছয় হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা থাকলেও গড়ে সেখানে থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আসছে গড়ে ৫০০ মেগাওয়াট। এক হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে।

এদিকে বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে বিপিডিবির সদস্য (বিতরণ) রেজাউল করিম জানান, বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে। সেটি গ্যাসের কারণে। গ্যাসভিত্তিক দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন আগে থেকেই ঘাটতি রয়েছে পিডিবির। আগে যেখানে গ্যাস থেকে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত, সেখানে এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। এর বাইরে ময়মনসিংহ ও রংপুরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে সেটি খুব বেশি নয়। সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সভাপতি রাজন, সম্পাদক রাব্বানী

ক্রীড়া প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের মির্...

মানিকগঞ্জে ডিএনসির অভিযানে গ্রেফতার ১

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের...

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক মহামারি...

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের এইচএ...

বাজেটে বিদেশ নির্ভরতা কমানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্র...

বাজেটে বিদেশ নির্ভরতা কমানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্র...

বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাবি চিরস্মরণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শ...

নবাব মুর্শিদ কুলি খান’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

৪ খাবার কমাতে পারে মানসিক উদ্বেগ

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিশ্বের অধিকাংশ...

কলড্রপের জন্য গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলড্রপের জন্য...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা